করোনার থাবায় মৃত লুধিয়ানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার! পজেটিভ স্ত্রী-ও গাড়ি চালক - BBP NEWS

Breaking

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

করোনার থাবায় মৃত লুধিয়ানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার! পজেটিভ স্ত্রী-ও গাড়ি চালক

বিবিপি নিউজ: করোনার থাবায় প্রান হারালেন লুধিয়ানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অনীল কোহলি। করোনার রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপরেই চিকিৎসকেরা প্লাজমা থেরাপির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

জানা গেছে, শনিবার লুধিয়ানার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লুধিয়ানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) অনীল কোহলি। মৃত্যু কালীন বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। দেশজুড়ে করোনা বিস্তার করার পর লুধিয়ানাকে ভাইরাস মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন এই পুলিশকর্তা। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সামনে থেকে লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। সংক্রামিত রোগীদের নিয়ে দিনরাত ছুটছিলেন। এর ফাঁকে নিজের শরীরের কখন যে করোনায় বাসা বাঁধে তা টের পায়নি। এরপরেই উপসর্গ দেখা দেয়। রিপোর্ট টেষ্ট করতেই ধরা পড়ে মরন ভাইরাসের। এরপরেই দিন দিন শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে শুরু করে। শনিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৯০ সালে পঞ্জাব পুলিশে যোগ দেন অনীল কোহলি। বিভিন্ন সন্ত্রাস দমন অভিযানে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। করোনার সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পরে, লুধিয়ানায় লকডাউন চালু করার কথা তিনিই প্রথম বলেন। নানা জায়গায় জমায়েত ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ২০ জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে বানিয়েছিলেন 'কোভিড কম্যান্ডো'। রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে সংক্রামিত রোগীদের খোঁজ করে র‍্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা ছিল এই টিমের কাজ। তা ছাড়া রাজ্যের নানা প্রান্তে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, লকডাউনের নিয়মরক্ষা, তাঁর কাঁধে ছিল অনেক দায়িত্ব। লুধিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, এসিপিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন ডাক্তাররা। তাঁর শরীরে অন্য কোনও অসুখও ছিল না। তা সত্ত্বেও বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। শেষের ক'টা দিন শ্বাসের সমস্যা বাড়ায়, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল। তার মধ্যেই প্লাজমা থেরাপির জন্য মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছিল। দাতাও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, সুযোগটা আর শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল না।পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি জানিয়েছেন, এসিপির স্ত্রী স্টেশন হাউস অফিসার। তিনিও করোনা পজিটিভ। তাঁদের গাড়ির চালক কনস্টেবলের শরীরেও কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। দু'জনকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। 

Pages