বিবিপি নিউজ: নানা টালবাহানার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতের কাছারি ময়দানে অনুষ্ঠিত হল বামেদের সভা। এই কাঠফাটা গরমে বাম কর্মী সমর্থকদের উপস্থিত চোখে পড়ার মতো।
এক যুগ আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রথম আসরে নেমেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা গৌতম দেব। বুধবার ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে গৌতমের লিখিত বার্তা পড়ে শোনান সিপিএম নেতা পলাশ দাস।
আরও পড়ুনঃ ঘুরতে গেলে কোন কোন হোমিওপ্যাথি ওষুধ সঙ্গে নেবেন,জানালেন চিকিৎসক সিঞ্চন দাস
চড়া রোদে এদিন সিপিএমের সভা শুরুর আগেই ভরে গিয়েছিল মাঠ। ৪২ ডিগ্রি প
তাপমাত্রা উপেক্ষা করে চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল। গরম সহ্য করতে না পেরে আশেপাশে গাছের নীচে এবং জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় বসে পড়েন জেলার নানা প্রান্ত থেকে আসা বাম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অনেকেই এসেছিলেন দীর্ঘ দিন পরে গৌতমের বক্তৃতা শোনার জন্য।
এদিনের সমাবেশে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, মানস মুখোপাধ্যায়, তন্ময় ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎ তোপদার প্রমুখ। অবাধ ও সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সেলিমের হুঁশিয়ারি, ‘‘অনেক রক্ত ঝরেছে। আমরা তৃণমূলকে বলছি, এর পরে যদি আবার খুনের রাজনীতি করতে চান, তা হলে বাংলার রং নীল সাদা হবে না। লাল হয়ে যাবে! খুনের রং লাল।’’
প্রশাসন প্রথমে অনুমতি দিয়েও প্রত্যাহার করেছিল। আদালতের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বারাসতে সভা করেছে সিপিএম। কাছারি ময়দানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের ডাকে সেই সমাবেশে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। উজ্জীবিত সিপিএম নেতৃত্ব সেই মঞ্চ থেকে তৃণমূল ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।