উত্তমকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন সুচিত্রা, আজও রহস্য - BBP NEWS

Breaking

বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

উত্তমকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন সুচিত্রা, আজও রহস্য

 




বিবিপি নিউজ

সুচিত্রা সেন, উত্তমকুমার, সুপ্রিয়া দেবী বাঙালির কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু এই তিনজনের কেউই নেই। তবু মাঝে মাঝেই আবেগপ্রবণ বাঙালির অন্দরে তাদের ঘিরে বিস্ময়। ধরে নেওয়া হয় তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু তাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলোকে সাদা-কালো না দেখে মাঝে রঙিন, ধূসর দিকেও আলো ফেলা যেতে পারে।


উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করা অভিনেতা অনুপ কুমার বলেছিলেন, ‘ওরা দুজন এতটাই বন্ধু ছিলেন যে দুজনের ইগো কখনও বাইরে প্রকাশ পেতো না। ওরা দুজন ঝগড়া করেছেন এমন কখনো দেখিনি।’ সুপ্রিয়া দেবীর স্মৃতি অনুযায়ী তিনি  শেওড়াফুলি এলাকার এক প্রেক্ষাগৃহে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দেখতে গিয়ে প্রথম প্রেমিক উত্তম-সুচিত্রাকে দেখেন। তত দিনে দুজনকেই চেনা হয়ে গেছে তার। কারণ, তার আগে সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে উত্তম কুমারের প্রথম ছবি ‘বসু পরিবার’ এর কাজ হয়েছিলো।

 


অন্যদিকে কাজের জন্য দেখা করতে গিয়ে 'বসু পরিবার'-এর পরিচালক নির্মল দে সুচিত্রার সঙ্গে সুপ্রিয়ার আলাপ করিয়ে দেন। সে সময় ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির শুটিং চলছিল। সেদিন থেকেই শুরু। এর পরে সময় এগিয়েছে। উত্তম আর সুপ্রিয়া একে অপরকে গভীরভাবে চিনেছেন। সুচিত্রা তখন সুপ্রিয়ার ‘রমাদি’ আর ‘তুমি’। রমাদিও বেশ পছন্দ করতেন উত্তমের ‘বেণু’কে। অনেকেই ভাবতেন সুপ্রিয়া আর সুচিত্রা একে অপরকে ঈর্ষা করতেন কিন্তু বাংলা ছবির দর্শকেরা অনেকেই জানেন না এরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন। সুচিত্রা ব্যক্তিগত ভাবে সুপ্রিয়াকে পছন্দ করতেন। আর সুপ্রিয়াকে তার ‘রমাদি’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি অভিনেত্রীর প্রতি তার শ্রদ্ধার কথা প্রকাশ করেছেন। সব কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখা সুচিত্রা মাঝে মাঝেই মজার কাণ্ড ঘটাতেন। একদিন কলকাতা জুড়ে অনেক বৃষ্টি। ময়রার স্ট্রিটের বাড়িতে ফোন করলেন ‘ইন্দ্রাণী’ ছবির নায়িকা। সুপ্রিয়ার কণ্ঠ শুনে সুচিত্রা বললেন, ‘উতু কোথায়? (ওই নামেই উত্তম কুমারকে ডাকতেন।)’ ফোনের ওপাশ থেকে সুপ্রিয়া জানালেন উত্তম কুমার বাড়িতে নেই শুটিংয়ে আছে। হতাশ সুচিত্রা থাকতে না পেরে সুপ্রিয়াকে বললেন, ‘ইশ! শুটিংয়ে গিয়েছে? উতুকে এখন ভীষণ চুমু খেতে ইচ্ছে করছিল।’

 সুপ্রিয়া এই কথা শুনে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে সুচিত্রাকে জানান উত্তম কুমারকে তিনি জানিয়ে দেবেন যে শুটিং শেষ হলে সুচিত্রার বাড়ি চলে যেতে। এ কথা শুনে অবাক হয়ে যান সুচিত্রা। কেন বিচলিত হলেন না সুপ্রিয়া, এই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিয়া বলেন, ‘রমাদি তোমাকে আমি খুব ভাল করে চিনি।’


Pages